কৃষিজাত পন্য-ফল ও ফসলের যাকাতকে ইসলামী পরিভাষায় উশর বলে। বাংলাদেশের জমি উশরী কিনা তা নিয়ে মত পার্থক্য থাকলেও অধিকাংশের মতামত উশর প্রদানের পক্ষে।
(ক) ফসলের নিসাবঃ
ইমাম আবু হানিফা (রাহঃ) এর মতে ফসল কম বেশী যাই হোক উশর আদায় করতে হবে। ইমাম আবু ইউসুফের মতে এবং বুখারী মুসলিম তিরমিজীর ভাষ্যে পাঁচ ওয়াসাকের কম পরিমান ফসলে যাকাত নাই। পাঁচ ওয়াসাক সমান প্রায় ৯৪৮ কিলোগ্রাম বা প্রায় ২৫মন।
(খ) উশরের পরিমানঃ
১) যে জমিতে সেচ-সার, কীটনাশক ব্যতিরেকে প্রাকৃতিক উপায়ে ফসল উৎপাদিত হয় তার
উশর ফসলের দশভাগের এক ভাগ।
২) যে জমিতে সেচ-সার,কীটনাশক ইত্যাদি সহ আধুনিক উপায়ে ফসল উৎপাদিত হয় তার
উশর ফসলের বিশ ভাগের এক ভাগ।
৩) পাকিস্তানে নিসাব পরিমান ফসলের ২৫% উৎপাদন ব্যয় বাবদ কর্তন করে অবশিষ্ট
ফসলের উশর দশ ভাগের এক ভাগ গন্য করা হয়।
(গ) উশরের শর্তঃ
১) সম্পদের নিসাব পরিমান মালের মালিককেই উশর আদায় করতে হবে।
২) জমির খাজনা বা কর দিলেও উশর আদায় করতে হবে।
৩) বছরে একাধিক ফসল উৎপন্ন হলে প্রতি ফসলেই উশর দিতে হবে।
৪) উৎপন্ন সকল ফসলের উপরই উশর ফরজ, কাজেই জমির মালিক পাগল, ক্রীতদাস,
নাবালগ, পরাধীন বা ওয়াকফকৃত যাহাই হোক না কেন উশর আদায় করতে হবে।
৫) ইজারা বন্দোবস্ত জমির শষ্যের উশর ইজারাদারের উপর ওয়াজিব।
৬) বর্গাজমির উশর উভয়ের ফসলেই আদায় করতে হবে।
৭) পচনশীল, ওজনযোগ্য নয়, ঔষধ বা খোশবু তৈরীতে ব্যবহৃত হয় এমন ফসলের
উশর নাই।
৮) বশতবাড়ীর আংগিনায় উৎপাদিত ফসলের উশর নাই।
৯) অমুসলিমের জমির ফসলে উশর নাই।
(ক) ফসলের নিসাবঃ
ইমাম আবু হানিফা (রাহঃ) এর মতে ফসল কম বেশী যাই হোক উশর আদায় করতে হবে। ইমাম আবু ইউসুফের মতে এবং বুখারী মুসলিম তিরমিজীর ভাষ্যে পাঁচ ওয়াসাকের কম পরিমান ফসলে যাকাত নাই। পাঁচ ওয়াসাক সমান প্রায় ৯৪৮ কিলোগ্রাম বা প্রায় ২৫মন।
(খ) উশরের পরিমানঃ
১) যে জমিতে সেচ-সার, কীটনাশক ব্যতিরেকে প্রাকৃতিক উপায়ে ফসল উৎপাদিত হয় তার
উশর ফসলের দশভাগের এক ভাগ।
২) যে জমিতে সেচ-সার,কীটনাশক ইত্যাদি সহ আধুনিক উপায়ে ফসল উৎপাদিত হয় তার
উশর ফসলের বিশ ভাগের এক ভাগ।
৩) পাকিস্তানে নিসাব পরিমান ফসলের ২৫% উৎপাদন ব্যয় বাবদ কর্তন করে অবশিষ্ট
ফসলের উশর দশ ভাগের এক ভাগ গন্য করা হয়।
(গ) উশরের শর্তঃ
১) সম্পদের নিসাব পরিমান মালের মালিককেই উশর আদায় করতে হবে।
২) জমির খাজনা বা কর দিলেও উশর আদায় করতে হবে।
৩) বছরে একাধিক ফসল উৎপন্ন হলে প্রতি ফসলেই উশর দিতে হবে।
৪) উৎপন্ন সকল ফসলের উপরই উশর ফরজ, কাজেই জমির মালিক পাগল, ক্রীতদাস,
নাবালগ, পরাধীন বা ওয়াকফকৃত যাহাই হোক না কেন উশর আদায় করতে হবে।
৫) ইজারা বন্দোবস্ত জমির শষ্যের উশর ইজারাদারের উপর ওয়াজিব।
৬) বর্গাজমির উশর উভয়ের ফসলেই আদায় করতে হবে।
৭) পচনশীল, ওজনযোগ্য নয়, ঔষধ বা খোশবু তৈরীতে ব্যবহৃত হয় এমন ফসলের
উশর নাই।
৮) বশতবাড়ীর আংগিনায় উৎপাদিত ফসলের উশর নাই।
৯) অমুসলিমের জমির ফসলে উশর নাই।
যাকাত সম্পর্কে আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন।