আল-কুরআনের মৌলিক জ্ঞান-
ভূমিকাঃ
মহাগ্রন্থ আল-কুরআন মানবজীবনের জন্য
একমাত্র পূর্নাঙ্গ জীবন
বিধান।
এতে
রয়েছে
মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সমাজিক,
অর্থনৈতিক ও
রাজনৈতিকসহ সামগ্রীক বিষয়ের যাবতীয় সমস্যার সুষ্ঠু
সমাধান। অপূর্ব
শব্দচয়ন,গুরুগম্ভীর ভাব
এবং
অনুপম
গাঁথুনির কারনে
এর
সঠিক
মর্মার্থ উপলব্দিকরা সবার
পক্ষ্যে সমান
ভাবে
সম্ভব
নয়।
এজন্য
একজন
মোমীনের কুরআনের জ্ঞানের পরিধির
সিমা-পরিসিমার পর্যায় জানা বা নির্ধারন করাও
অসম্ভব। তবে
কুরআনের প্রাথমিক ও
মৌলিক
জ্ঞান
তথা
পরিচয়
একজন
মোমীন
মাত্রই
জানা
উচিৎ।
জ্ঞানের প্রকৃত উৎসঃ
মৌলিক
ভাবে
জ্ঞান
অর্জনের মাধ্যম
৩টি-
যথা-
পঞ্চ
ইন্দ্রিয়, আকল
ও
ওহী
১.পঞ্চ ইন্দ্রিয়(দিন-রাত,গরম ঠান্ডা,দুঃখ-কষ্ট,আরাম-আয়েশ)
২.আকল ৩ ভাবে বিকশিত
হতে
পারে
যথা-
ক)
বুদ্ধি,
মস্তিষ্ক, চিন্তা-গবেষনালব্দ জ্ঞান খ) ইতিহাস লদ্ধ
জ্ঞান
অর্থাৎ
অভিজ্ঞতা গ) মানবীয় সীমাবদ্ধ জ্ঞান
ভিত্তিক বিজ্ঞানলব্ধ জ্ঞান
(অনিশ্চিত ভাবে-
ভাল
খারাফ,কল্যান অকল্যান,) উপরোক্ত জ্ঞানের উৎসগুলো দ্বারা
সত্য
উপলদ্ধির প্রেরণা লাভ
করা
যেতে
পারে
কিন্তু
এগুলো
প্রকৃত
সত্যের
সন্ধান
দিতে
পারেনা। তাই
এই
চারটি
উৎস
দ্বারা
মানুষ
নির্ভুল কোন
মত
ও
পথ
এবং
জীবন
বিধান
রচনা
করতে
পারেনা
এবং
পারবেনা। তার
প্রমাণ
গত
একশ
বছরে
পৃথিবীতে শান্তি
প্রতিষ্ঠা করতে
অসংখ্য
মতবাদ
ও
পথ
রচনা
করা
হয়েছে। কিন্তু
পৃথিবীতে তা
বারে
বারেই
ব্যর্থ
প্রমাণিত হয়েছে।
৩.ওহীর বা প্রত্যাদেশলদ্ধ জ্ঞান।
ওহী
ভিত্তিক জ্ঞানই
হচ্ছে
একমাত্র নিখূত,
নির্ভূল, চিরন্তন শাশ্বত
ও
অকাট্য
জ্ঞান।
যা
একমাত্র মহান
আল্লাহর পক্ষ
থেকেই
প্রদান
করা
হয়ে
থাকে।
এই
ওহীর
ধারা
বাহিকতাই প্রথিবীতে একশত
চারখানা কিতাব
যুগে
যুগে
অসংখ্য
নবীও
রাসূল
(সাঃ)
এর
উপর
অবতীর্ন করা
হয়।
তন্মধ্যে প্রধান
কিতাব
হচ্ছে
৪
খানা।
যথা-
১)
তাওরাত
হযরত
মূসা
(আঃ)
এর
উপর
অবতীর্ন হয়।
২)
যাবুর
হযরত
দাউদ
(আঃ)
এর
উপর
অবতীর্ন হয়।
৩)
ইনজীল
হযরত
ইসা
(আঃ)
এর
উপর
অবতীর্ন হয়।
৪)
আল-কুরআন হযরত মুহাম্মদ সাঃ
এর
উপর
অবতীর্ন হয়।
কুরআনের আভিধানিক অর্থঃ
১)
মাওলানা মওদুদী
বলেন-
কুরআন
শব্দটি
কারায়া থেকে
নির্গত। এর
আসল
অর্থ
পাঠ
করা
। যেহেতু কুরআন
বার
বার
পাঠ
করা
হয়।
২)
লিসানূল আরব
গ্রন্থ
প্রনেতা বলেন
কুরআন
শব্দটি
মাস্দার ও
হামযা
যুক্ত
কারউন
থেকে
উৎপন্ন
এর
অর্থ
পাঠ
করেছে
। এখানে মাস্দার কে
মফউলের
অর্থে
তথা
মাকরুউন অর্থাৎ
পঠিত
অর্থে
৩)
লিসানুল আবর
গ্রন্থ
প্রণেতা বলেন-
কুরআন
শব্দটি
মাসদার
ও
হামযা
যুক্ত
কারউন
থেকে
উৎপন্ন
এর
অর্থ
পাঠ
করেছে।
এখানে
মাসদার
কে
মাফউলের অর্থে
তথা
মাকরুউন অর্থাৎ
পঠিত
অর্থে
গ্রহন
করা
হয়েছে। যেহেতু
কুরআন
মজিদ
বিশ্বের সর্বাদিক পঠিত
গ্রন্থ।
৪)
আল-আশয়ারীর মতে, কুরআন শব্দটি
কারউন
ধাতু
থেকে
নির্গত। অর্থ
সন্নিবেশিত করা।
যেহেতু
কুরআন
মজিদে
পূর্বের সকল
আসমানী
কিতাবের সারবস্তু জমা
করে
দেয়া
হয়েছে।
কুরআনের পারিভাষিক অর্থঃ
১)
ইসলামী
পরিভাষায় অধিকাংশ মুফাসসীরদের বর্ণনার আলোকে
কুরআনের সংজ্ঞা
দেওয়া
যায়
এভাবে-মহান আল্লাহর পক্ষ
থেকে,
“লাওহে
মাহফুজ”
থেকে,
হযরত
জিব্রাইল আমীনের
মাধ্যমে , মুহাম্মদ (সাঃ)
এর
উপর
নবুয়তের ২৩
বছর
জীবনে
মানব
জাতির
বিভিন্ন প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে যে
ওয়াহী
নাযিল
করা
হয়
তাকে
কুরআন
বলা
হয়।
২)
মাওলানা মুহাম্মদ আলী
আস
সাবুনী
বলেন-কুরআন আল্লাহ তায়ালার সেই
অতিশয়
পবিত্র
ও
সম্মানিত কালাম,
যা
তিনি
সর্বশেষ নবী
মুহাম্মদ (সাঃ)
এর
উপর
জিব্রাইল (আঃ)
মাধ্যমে ধীরে
ধীরে
পর্যায়ক্রমে ২৩
বছর
যাবৎ
অবতীর্ন করেছেন। যে
কালাম
কিয়ামত পর্যন্ত সামান্যতম রদ-বদল থেকেও সম্পূর্ণ মুক্ত
থাকবে
এবং
যার
হেফাযতের দ্বায়িত্বশীল স্বয়ং
আল্লাহ। (আত
তীবয়ানু ফী
উলুমিল
কুরআন)
৩)
মান্না
আলা
কাত্তান বলেন-কুরআর মাজীদ আল্লাহ
তা’য়ালার কালাম। হযরত
মুহাম্মদ (সাঃ)
এর
উপর
ইহা
অবতীর্ণ। এর
তেলাওয়াত করা
ইবাদত।
(মাবাহিস ফী
উলুমিল
কুরআন
পৃ
২১)
৪)
আল্লামা ফখরুল
ইসলাম
বাযদাবী বলেন-ঃ কুরআর ঐ
কিতাব
যা
রাসূলের উপর
অবতীর্ণ হয়
এবং
যা
সহীফা
সমূহে
লিপিবদ্ধ ।
আর
যা
রাসূল
(সাঃ)
হতে
ধারাবাহিকভাবে সন্দেহাতিতরুপে বর্ণিত।
কুরআনের বিষয়বস্তুঃ মানুষ-
অথ্যাৎ
কিসে
মানুষের কল্যাণ
ও
আর
কিসে
মানুষের অকল্যাণ,পবিত্র
কুরআন
তা
বলে
দিবে
। এর সাথে
জড়িত
রয়েছে
৩টি
বিষয়
। যথাঃ-
১)
আল্লাহ
তায়ালার যথার্থ
পরিচয়
।
২)
আল্লাহর সাথে
মানুষের সঠিক
সম্পর্ক ।
৩)
মানুষের সাথে
মানুষের সম্পর্ক।
কেন্দ্রীয আলোচ্য বিষয়ঃ
মানুষ
জ্ঞানের অভাবে
প্রবৃত্তির দাসত্বের কারণে
নিজের
সত্বা
ও
পার্থিব জীবন
সম্পর্কে যে
মতবাদ
রচনা
করেছে
তা
ভুল
প্রমাণিত। প্রকৃত
পক্ষে
মানুষ
দুনিয়াতে আল্লাহর খলিফা
হিসাবে
দায়িত্ব পালন
করবে
।
কুআনের
লক্ষ্য-উদ্দেশ্যঃ দুনিয়াতে শান্তি ও আখিরাতের মুক্তি
।
মানব
রচিত
সকল
মতবাদকে পরাভূত
করে
আল্লাহর যমীনে
আল্লাহর দ্বীনকে পরিপূণবিজয়ী আদর্শ
হিসেবে
প্রতিষ্ঠা করে
আল্লাহর সন্তুুষ্টি অজর্ন
করা
।
সূরা
আল
ফাতাহ
-২৮
সূরা
আস্সফ-৯
কুরআনের শেষ লক্ষ্যঃ
সমগ্র
মানব
জাতিকে
নির্ভূলকর্মনীতি আল্লাহর প্রদত্ত জীবন
বিধানের দিকে
আহবান
করা,
যা
সে
ভূলে
গেছে
নিজের
কারনে
। যাতে সে
দুনিয়াতেও নিজের
জীবনকে
কল্যাণময় করতে
পারে
এবং
পরকালেও শান্তিময় জীবন
লাব
করতে
পারে
।
আবার
বিষয়
বস্তুর
দিক
দিয়ে
কুরআন
কে
মৌলিক
ভাবে
৫
ভাগে
ভাগ
করা
হয়
।
কুরআন
পৃথিবীর একমাত্র নিভূল
গ্রন্থঃ
১.ইহা
এমন
কিতাব
যাতে
সন্দেহের কোন
অবকাশ
নেই। সূরা
বাকারা-
২
২.নিশ্চয় কুরআন
আমিই
নাযিল
করেছি,
আর
এর
হিফাজতের দায়িত্ব আমারই
হাতে।
সূরা
আয়াত
৩. কুরআন
কেবলই
আমার
পক্ষথেকে মোহাম্মদ (সাঃ)
যদি
এর
মধ্যে
কম
বেশি
করতেন
তাহলে
আমি
অবশ্যয় তার
কন্ঠ
চেপে
ধরতাম।
সূরা
আয়াত
কুরআনে
বর্নিত
মূল
প্রতিপাদ্য বিষয়াদি ৫
প্রকার
।
যেমন
-
এক)
ইলমুল
আহকাম
বা
সাংবিধানিক জ্ঞান।অর্থাৎ ইবাদত-উপাসনা,লেন দেন,ঘর সংসার,আচার
অনুষ্ঠান ও
রাজনীতিসহ যে
কোন
ক্ষেত্রে ফরজ, ওয়াজিব , মুস্তাহাব , হারাম
মাকরুহ
, ও
মুবাহ
সহ
সকল
বিধি-বিধান এই মূলনীতির অন্তর্ভুক ।এই বিষয়ে
আলোচনার জন্য
ফকিগনই
অধিক
যোগ্য।
দুই)
ইলমুল
মখাসামা তথা
তর্ক
শাস্ত্রীয় জ্ঞান।ইহুদী ,নাসারা,
মুশরিক
ও
মুনাফেক এ
চার
ভ্রষ্টদের সাথে
তর্ক
শাস্ত্রে পান্ডিত্য অর্জন
করা।
এধরনের
ইলমের
আলোচনার জন্য
মোতাকাল্লেমীন অর্থাৎ
দার্শনিকরাই অধিক যোগ্য।
তিন)
ইলমূত
তাযকীর
বি
আলাইল্লাহ অর্থাৎ-
আল্লাহর পরিচয়,
গুনাবলী , সৃষ্টি
ক্ষমতা,আসমান যমিন ইত্যাদির আলোচনা
।
চার)
ইলমুত
তাযকীর
বি
আয়্যামিল্লাহ তথা
আল্লাহ
তায়ালার সৃজিত
বিশেষ
ঘটনা
সমুহের
জ্ঞান।হেদায়াত ও
গোমরাহী সম্পর্কে আলোচনা
ঃ
অন্যান্য নবী
রাসূল
দের
শরীয়াত ,ইতিহাস
ও
তাদের
উত্থান
পতন
সহ
আলোচনা
।
পাঁচ)
ইলমুত
তাযকির
বিল
মাউত
তথা
পারলৌকিক জ্ঞান
অর্থাৎ
মৃত্যু
ও
মৃত্যু
পরবতী
জীবন
সম্পর্র্কে আলোচনা
ঃ
কবর
, হাশর
, মিজান,
দাজ্জাল, আমলনামা ,দিদারে
এলাহী
ইত্যাদি ।
ওয়াহীর শাব্দিক অর্থঃ
১)
গোপনীয়তা
২)
দ্রুততা
- ওয়াহীর আভিধানিক অর্থ ঃ ”এমন দ্রুত সংবাদ যা ঐব্যক্তি জানেন ,যার নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যদের কাছে তা গোপন থেকে যায়”। (মাবাহিসফী উলুমিল কুরআন)
শাব্দিক অথের্র
প্রেক্ষিতে আরো
কয়েকটি অর্থ
হতে
পারে
যথা-
ক)
মানুষের অন্তরে
স্বভাবগত ইলহাম-
যেমন-মুসার মায়ের অন্তরে
আমি
ইঙ্গিত
নিদের্শ করলাম
,শিশুটিকে দুধ
পান
করাতে
।
খ)কোন প্রাণীর অন্তরে
গচ্ছিত
ইলহামঃ
যেমন
- তোমার
প্রতিপালক মৌমাছি
কে
তার
অন্তরে
ইংগিত
দিয়েছেন পাহাড়,বৃক্ষে ও মানুষের ঘরে
গৃহ
নির্মাণ করতে
।
গ)
অতি
দ্রুত
কোন
ইংগিত
করা
যেমনঃ
অতঃপর
তিনি
(যাকারিয়া ) তাদেরকে আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা
করতে
বললেন
ঘ)
আল্লাহর পক্ষ
থেকে
ফেরেস্তাদের প্রতি
ওয়াহী
যেমনঃ
তোমরা
প্রতিপালক ফেরেস্তাদের প্রতি
প্রত্যাদেশ করেছেন
।
ওয়াহীর পারিভাষিক সংজ্ঞাঃ
১)শরীয়াতের পরিভাষায় ওয়াহী হল- আল্লাহ তায়ালার বাণী
,যা
তার
নবী
গণের
মধ্যে
থেকে
কোন
নবীর
উপর
নাযিল
করা
হয়েছে।(মাবাহিসফী উলমুল
কুরআন
)
২)ওস্তাদ মুহাম্মদ আব্দুহু তার
রিসালা
আতত্ওহীদ গ্রস্থে বলেন-
দৃঢ়তার সাতে
ব্যক্তির আপন
অন্তরে
কোন
বিষয়ে
আরল্লাহর পক্ষ
থেকে
জ্ঞান
পাওয়া
। সে জ্ঞান
কোন
মাধ্যমে হতে
পারে
অথবা
কোন
মাধ্যম
ছাড়া
হতে
পারে
।
ওয়াহীর প্রকার ঃ
ওয়াহীকে দুই
ভাগে
ভাগ
করা
যায়
ঃ
১)মাতলুঃ কুরআনকে মাতলু
বলা
হয়
। এর অর্থ
যা
তেলাওয়াত করা
হয়
। কুরআন তেলাওয়াত করা
ইবাদত
।
২)গায়রে মাতলু ঃ
হাদীসকে ওয়াহীযে গায়রে
মাতলু
বলা
হয়।
যেহেতু
হাদীস
নামাজে
তেলাওয়াত করা
হয়
না
। কুরআন আল্লাহ
তায়ালার মৌলিক
জ্ঞান
। আর হাদীস
হল
তার
বিস্তারিত ব্যাখ্যা হাদীসের ভাব
ও
মর্ম
আল্লাহ
তায়ালার কিন্তু
ভাষা
রাসূলের সাঃ
নিজস্ব
রাসূল
সাঃ
বলেন-আমাকে কুরআন দেওযা
হয়েছে
এবং
তার
সাথে
অনুরূপ
একটি
বস্তু
দেওয়া
হয়েছে
।আর
দ্বিতীয় বস্তুটি হল
হাদীস
বা
সুন্নাহ।
৩)আল্লাহ ও রাসূলের মধ্যকার সকল
কথপোকথনই কুরআন
বা
ওহি
নয়।
যেমন-
রাসূলের পালক
পুত্রের তালাক
প্রাপ্তা স্ত্রীকে আল্লাহর অনুমোদন ক্রমেই
বিবাহ
করেছিলেন, যা
কুরআনে
উল্লেখ
নেই।
দ্বিতীয়তঃ- রাসূল
(সাঃ)
একাদন
তাঁর
স্ত্রীদের কোন
একজনের
নিকট
একটি
একান্ত
গোপন
কথা
বলেন।
তিনি
(স্ত্রী)
তা
অন্যদের কাছে
ফাঁস
করে
দেন।
রাসূল
(সাঃ)
এজন্য
র্তাঁকে অভিযুক্ত করলে
তিনি
বললেন
আপনি
একথা
কিভাবে
জানলেন
? প্রতিউত্তরে রাসূল
(সাঃ)
বললেন
মহাজ্ঞানী সর্ববিষয়ে জ্ঞাত
আল্লাহই আমাকে
জানিয়েছেন। ?
কুরআন নাযিলের পদ্ধতিঃ
পবিত্র
কুরআন
দুটি
পযার্য়ে অবতীর্ণ হয়।
প্রথম পর্যায়ঃ লাওহে
মাহফুজ
থেকে
দুনিয়ার আকাশে
লাইলাতুল ক্বাদারে পূর্ণ
কুরআন
এক
সাথে
নাযিল
হয়।
বরকতময় রজনী
লাইলাতুল ক্বাদারে কুরআন
’লাওহে
মাহফুজ
’ থেকে
দুনিয়ার আকাশে
’বায়তুল ইয্যাহ
নামক
স্থানে
একসাথে
নাযিল
হয়।
তার
প্রমাণ
সূরা
ক্বাদার -
দ্বিতীয় পর্যায়ঃ দুনিয়ার আকাশ থেকে নবী
করীম
(সাঃ)
এর
অন্তরে
নবুওয়াতের দীর্ঘ
২৩
বছর
সময়ব্যাপী প্রয়োজন অনুপাতে অল্প
অল্প
করে
অবতীর্ণ হয়
। এই সময়টাকে নবুওয়াতী জীবন
বলে।(
সূরা
বনি
ইসরাইল-১০৬)
ওয়াহী
নাযিলের পদ্ধতি
ঃ
(ক) ফেরেস্তার মাধ্যমে ওয়াহীঃ যেমন-
* ঘন্টার ধ্বনি
ন্যায়
যখন
ওয়াহী
নাযিল
হত
তখন
এই
রকম
আওয়াজ
হত।
* সরাসরি হযরত
জিব্রাইলকে (আঃ)
প্রেরণের মাধ্যমে -অধিকাংশ সময়
জিব্রাইল আঃ
নিজে
ওয়াহী
নিয়ে
আসতেন
।
* ফেরেস্তা মনুষ্য
সুরতে
আগমন
- বেশীর
ভাগ
সময়
হযরত
দাহিয়াতুল কলবির
সুরতে
জিব্রাইল (আঃ)
আসতেন।
* ফেরস্তার নিজ
আকৃতিতে-জিব্রাইল (আঃ)
আপন
আকৃতিতে রাসূলের নিকট
ওয়াহী
নিয়ে
আসতেন
।
* হযরত ইসরাফিল (আঃ)
মাধ্যমে কখনো
কখনো
ওয়াহী
অবতীর্ণ হত
।
* রাসূলের নবুয়াতের ২৩
বছরেরহযরত জিব্রাইল তার
নিকট
মোট
২৪,০০০ বার এসেছেন।
*
রাসূল (সাঃ) তাকে
২৩
বছরে
মোট
৩
বার
নিজস্ব
সুরতে
দেখতে
পান
। যথাঃ-
১)হেরা গুহায় প্রথম
ওয়াহী
নিয়ে
আগমন
করার
দিন
।
২)ফিতরাতুল ওয়াহী সময় ঃ
ওয়াহী
বন্দ
থাকাকালীন সময়ের
মধ্যে
একদিন
তাকে
আসমান
হতে
যমীন
পযর্ন্ত বিরাট
আকৃতিতে চেয়ারে বসা
অবস্থায় ।
৩)
মিরাজে
ঃ
মিরাজের রাত্রিতে সিদরাতুল মুনতাহা নামক
স্থানে
দেখেন।
(খ)মাধ্যম
ছাড়া
ওয়াহী
ঃ
*সত্য স্বপ্নের মাধ্যমে -
*জাগ্রত অবস্থায় পর্দার
অন্তরাল থেকে
ওযাহী
প্রেরণ-
*
রাসূলের সাঃ অন্তর এলহামের মাধ্যমে -(আননাপাচুফির রুয়ী)
*
সরাসরি আল্লাহর সাথে
কথা
বলা
।যেমন
মিরাজের রাত্রিতে। (সূরা
শুরা
-৫১)
আরো
বিস্তারিত পাওয়া
যাবে
ঃ-
সাফফাত
-১০২,ফাতির-২৭ আয়াত।