আব্দুল কাদের জিলানী রহঃ এর সম্পূর্ণ জীবনী


যুগে যুগে ইসলামের বানী মানুষের মাঝে পৌছে দেয়ার উদ্দেশ্যে আল্লাহ তায়ালা নবী, রাসূল, অলী আওলীয়া, পীর মাশায়েখ প্রেরন করেছেন । বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে তাদের জীবন যাপন করেন। আর তাদের প্রত্যেকের জীবনী থেকে শিক্ষনীয় অনেক বিষয় থাকে যেগুলো থেকে আমাদের জ্ঞান অর্জন করা উচিৎ।  সেরকম একজন হলেন পড় পীর আব্দুল কাদির জীলানী। তার জীবনী সংক্ষিপ্ত ভাবে নিচে উপস্থাপন করা হলোঃ ঘটনাটি একটি ইসলামিক ওয়েব সাইট থেকে অনুলিপি করে প্রকাশ করা হলো। 

জন্ম শৈশব : 
ইসলামী জগতের প্রাতঃস্মরনীয় আধ্যাত্নিক ব্যক্তিত্ব,দরবেশকুল শিরোমনি, মাহবুবে সোবহানী,কুতুবে রাব্বানী বড়পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী : ১লা রমজানুল মোবারক হিজরী ৪৭০ বা ৪৭১ সালে পারস্যের এক বিখ্যাত জনপদজিলানে জনপদে জন্মগ্রহন করেন।তার বংশতালিকায় পিতা সায়েদ শেখ আবু সালেহ : এর একাদশতম উর্ধ্বতন পুরুষ হযরত হাসান : এবং তার মাতা সাইয়েদেনা ফাতেমা : এর চৌদ্দতম উর্ধ্বতন পুর্বপুরুষ ছিলেন হযরত ইমাম হোসেইন :এভাবেই তিনি পিতৃ সুত্রে হাসানী মাতৃ সুত্রে হোসাইনী বংশধারার উত্তরসুরী। আব্দুল কাদির জিলানী : এর পিতা সাইয়্যেদ আবু সালেহ মুসা : একজন বিশেষ পুন্যবান,কামেল বোযর্গ ব্যক্তি ছিলেন।
সচ্চরিত্রতা আল্লাহ প্রেমের বিবিধ গুন তাহার মধ্যে বিরাজমান ছিলযৌবন কালে যখন তিনি বিয়ে করেননি তখনকার একটি ঘটনা ! তিনি একদিন নদীর ধারে ক্লান্ত অবস্হায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন হঠাৎ তিনি দেখলেন একটি আপেন পানিতে ভেষে যাচ্ছেতিনি ফলটি উঠিয়ে আনলেন পরম তৃপ্তিসহকারে ভক্ষন করলেনকিছুক্ষন পর হঠাৎ তর মনে হল এই ফলটি খাওয়া তাহার ঠিক হলো ? এই ফলের মালিকতো তিনি ননকোথা হতে ফল ভেসে এসেছে কে জানেতার অনুমতিতো নেয়া হয়নিতাহলে তিনি কি পরদ্রব্য ভক্ষনজনিত অপরাধ নিয়ে মহা বিচারকের সামনে হাজির হবেন ? যে করেই হোক মালিকের ঠিকানা বের করে মাফ চেয়ে নিতে হবেতাই তিনি স্রোতের বিপরীত দিকে বিষন্নচিত্তে আপেল ফলের বাগানের সন্ধান করিতে লাগিলেন এবং বাগানের বাগানের মালিকের সন্ধান পেলেনবাগানের মালিক সাইয়্যেদ  আব্দুল্লাহ সাউয়েমী :

 
তার কাছে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে তার কাছে ক্ষমা চাইলেন যুবক আবু সালেহবিস্মিত হলেন বাগানের মালিকএই যুবকের অন্তরে কি আল্লাহভীতিএকেতো হাত ছাড়া করা যায় নাতিনি বললেন, ‘আপেলেরতো অনেক মুল্যকি এনেছ তার জন্য ?’ আবু সালেহ জবাব দিলেন,’আমার কাছেতো কোন টাকাপয়সা নেইতবে গায়ে খেটে মুল্য পরিশোধ করতে চাইআপনি যতদিন খুশী গায়ে খাটিয়ে নিতে পারেনহজরত সাউয়েমী : বললেন ওয়াদা করবার আগে ভাল করে ভেবে দেখ আবু সালেহ বললেন আমি ওয়াদা পুর্ন করবো ইনশাআল্লাহ সাউয়েমী : বললেন তোমাকে পুরো এক বৎসর বাগানের দেখাশোনার কাজ করতে হবে উপরন্তু আমি যখন যে কাজের হুকুম দিব তাই করতে হবে কোন কথা ছাড়াই সব শর্ত মেনে নিলেন আবু সালেহসময় শেষ হবার পর নুতন শর্ত যুক্ত করলেন সাউয়েমী :আমার একটি অন্ধ,বধির বোবা কন্যা আছে তাকে তোমার বিয়ে করতে হবে ! অন্ধ,বধির বা বোবা কিছুই ননপরদিন ব্যখ্যা দিলেন সাউয়েমী :,বাইরের কোন লোকের দিকে কখনো চোখ তুলে তাকায়নি এবং তার মুখে কখনও অশ্লীল বাক্য উচ্চারিত হয়নিতাই তাকে আমি অন্ধ,বধির বোবা বলেছিলাম

আব্দুল কাদির জিলানী : যখন মাতৃগর্ভে তখন একদিন তার মাতা সাইয়্যেদেনা উম্মুল খায়ের ফাতেমা(:) স্বপ্নে দেখেন যে মানব জাতির আদি মাতা, হযরত আদম : এর স্ত্রী হজরত হাওয়া : সহাস্য আনন্দে তাকে বলছেন,”ওগো ফাতেমা ! তুমি বিশ্বচরাচরের ভাগ্যবতী মহিলা।তোমার গর্ভে যে সন্তান আছে,সে হবে আওলিয়াকুল শিরমনি গাউসুল আজম।
অনুরুপ আরেক স্বপ্নে দেখিলেন হযরত হযরত ইব্রাহিম : এর স্ত্রী বিবি সারা : মধুর স্বরে বললেন,”হে সৌভাগ্যবতী ফাতেমা !আল্লাহ পাকের মারেফাত তত্ত্বের শ্রেষ্ঠ পথ প্রদর্শকনুরে আজমতোমার গর্ভে আছে।সুতরাং তুমি নিবিষ্ট মনে আল্লাহর গুনগানে নিমগ্ন থেক।

একই ভাবে আবার দেখলেন ফেরাউনের পুন্যবতী স্ত্রী আসিয়া : মধুর কন্ঠে বলছেন,”ওগো সৌভাগ্যবতী মর্যাদাশীলা ফাতেমা ! আমি তোমাকে এক অনির্বচনীয় শুভসংবাদ প্রদান করছি। তুমি অতিশয় সৌভাগ্যবতী মর্যাদাশীলা রমনী।তোমার গর্ভে যে আওলিয়াকুল শ্রেষ্ঠ সন্তানের আবির্ভাব হয়েছে,পৃতিবীর বুকে তার উপাধি হবেরওশন জমিরএরকম আরো বহু স্বপ্ন তিনি তার গর্ভাবস্হায় দেখেন

হযরত আব্দুল কাদির জিলানী(:) এর বয়স যখন মাত্র বৎসর তখনই তিনি পিতৃহীন হন।তার লালন-পালন পড়াশোনার দায়িত্ব এসে পড়ে মায়ের উপর।মা চরকায় সুতা কেটে জিবীকা নির্বাহ করতে শুরু করেন

মাতা পুত্রকে কখনও কখনও অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাতে হয়।যেদিন ঘরে কিছু খাবার না থাকতো তখন মা বলতেন,”আজ আমরা আল্লাহপাকের মেহমান।খুব অল্প বয়সেই হযরত আব্দুল কাদির জিলানী(:) মকতবে যাওয়া শুরু করেন।বাল্যবয়সেই বিভিন্ন আলৌকিক ঘটনাও ঘটতে শুরু করে। একবার সমবয়সী বালকদের সাথে খেলায় যোগ দেয়ার ইচ্ছা করলে গায়েবী আওয়াজ এলো,”হে বরকতময় সত্তা ,আমারকাছে এসো!”কথা শোনা গেলেও কন্ঠটি কার বা কোথ্থেকে এলো কিছুই তিনি বুঝতে পারলেন না।তাছারা কোন লোকও তিনি সেখানে দেখতে পেলেন না।তাই ভয়ে দৌড়ে তিনি ময়ের কাছে চলে এলেন। এরকম আরো বহুবার হয়েছে।একবার নিদ্রাকাতর অবস্হায় সুখময় নিদ্রা যাচ্ছিলেন।এমন সময় ঘুমের ঘরে তিনি স্বপ্নে দেখিলেন-একজন উজ্জল জ্যোতিবিশিষ্ট স্বর্গীয় ফিরেশতা তাহার শিয়রের নিকট এসে অত্যন্ত কোমল স্বরে বলিতেছেন- ”হে আল্লাহর মনোনিত আব্দুল কাদির!উঠ,আর নিদ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে থেক না।সুখ শয্যার কোলে ঢলে পড়বার জন্য এই পৃথিবিতে তোমার আগমন ঘটেনি।তোমার কর্তব্য দায়িত্ব সুদুরপ্রসারী! মোহগ্রস্হ,নিদ্রাচ্ছন্ন জনগনকে নিদ্রার মোহ থেকে মুক্ত করিবার জন্যই তোমার আগমন ঘটেছে


শিক্ষা জীবন : 
হযরত আব্দুল কাদির জিলানী(:) এর বাল্য শিক্ষার হাতে খড়ি হয়েছিল জ্ঞানবান পিতা গুনবতী মাতার মাধ্যমে।তিনি স্বীয় পিতা -মাতার মাধ্যমেই প্রথমিক স্তরের শিক্ষনীয় বিষয়গুলি গৃহে বসেই সমাপ্ত করেছিলেন।সর্বপ্রথমেই তিনি পবিত্রকোরান পাঠ করা শিক্ষা করেন সম্পুর্ন কোরান হেফজ করেন।গৃহশিক্ষার বাইরেও তিনি জিলান নগরের স্হানীয় মক্তবেও বিদ্যা শিক্ষা করেছিলেন।একবার তিনি মক্তবে উপস্হিত হলে সেখানে বসার জন্য কোন স্হান পাচ্ছিলেন না।এমন সময় অদৃশ্য হতে আওয়াজ হলো,”হে শিক্ষার্থীগন!এই বালকের জন্য তোমরা একটু স্হান করে দাও,যাহাতে তিনি বসতে পারেন।কেহই আওয়াজের দিকে তেমন লক্ষ্য দিল না।পরিশেষে আবার গম্ভীর কন্ঠে দৈববানী ঘোষিত হলো, ”হে শিক্ষার্থীগন!তোমরা কি দেখিতএ পাইতেছ না যে,আল্লাহর প্রিয় অলী দ্বারে দাড়িয়ে আছে ? উঠ,তাহাকে সসিবার স্হান করে দাও। অযথা বিলম্ব করে সময় অপচয় কর না।এই অদৃশ্য বানী ছাত্র শিক্ষক সকলের কর্নেই ভীষনভাবে আঘাত করল।সকলেই হতচকিত বিস্ময়াপন্ন হয়ে গেল এবং বড় পীর আব্দুল কাদির : কে বসবার স্হান করে দিল।
তার প্রখর ধীশক্তি,প্রত্যুতপন্নমতিত্ব আল্লাহ প্রদত্ত প্রজ্ঞার ফলে বাল্যকালেই তিনি অসাধারন পান্ডিত্য অর্জন করতে সক্ষম হন। কোন এক জিলহজ্ব মাসের ৯ম দিবসে শহর ছেরে গ্রামের দিকে গেলেন।সেখানে এক গাভীর গায়ে হাত দিতেই গাভীটি তার দিকে তাকালো এবং বলতে লাগলো,”হে হযরত আব্দুল কাদির ! আল্লাহ পাক তোমাকে কৃষিকাজের জন্য সৃষ্টি করেন নি বা জীবিকা অর্জনের হুকুমও তোমাকে দেননিগাভীর মুখে কথা শুনতে পেয়ে ভীত সন্ত্রস্হ অবস্হায় বাড়ী ফিরে এলেন এবং মনের উদ্বেগে ঘরের ছাদে উঠে নানা কথা ভাবছিলেন।এমনসময় তিনি দেখতে পেলেন মক্কা শরীফ পর্যন্ত সমস্ত এলাকা তার সামনে উন্মুক্ত চোখের সামনে তিনি আল্লাহর ঘর দেখতে পেলেন।তিনি আরো দেখতে পেলেন আরাফাতে হাজ্বী সাহেবরা অবস্হান করছেন।অতএব গায়বী ইঙ্গিতের মর্ম বোঝতে চেষ্টা করে তিনি মাকে দ্বীনী উচ্চশিক্ষার জন্য বাগদাদ গমনের ইচ্ছার কথা জানালেন।
মা হৃষ্টচিত্তে অনুমতি দিয়ে তার পাথেয় প্রস্তুতিতে লেগে গেলেন।রওনার দিন জামার ভেতরে ৪০টি স্বর্নমুদ্রা সেলাই করে দিয়ে তার মা বললেন,”আল্লাহর নাম নিয়ে রওয়ানা হও।সততা বিশ্বস্ততাকে নিজের আদর্শরুপে শক্ত হাতে ধারন করবে।
ঘটনাক্রমে রাস্তায় ডাকাত পড়লো।এক ডাকাত শিশু আব্দুল কাদিরকে তার কাছে কিছু আছে কিনা জিজ্ঞেস করলো।তিনি অকপটে স্বীকার করলো জামার ভিতর সেলাইকরা ৪০টি স্বর্নমুদ্রার কথা।বালকের সততায় সরলতায় ডাকাত মুগ্ধ হয়ে জিজ্ঞেস করলো,এবিপদের মুহুর্তে লোকেরা প্রকাশ্য সম্পদও গোপন ফেলে আর তুমি গোপন সম্পদের কথা কেন আমাকে দিলে ? বালক আ্ব্দুল কাদির জবাব দিল,”আমার আম্মা আমাকে সর্বদা সত্য কথা বলার উপদেশ দিয়েছেন।
আল্লাহওয়ালাদের কথায় এমন প্রভাব থাকে যা পাষান হৃদয়ও একমুহুর্তে গলিত হতে পারে।ডাকাত সর্দার কাদতে শুরু করলো এবং বলল,”এবালকটি তার মায়ের নির্দেশ এত বিপদের মধ্যেও যেভাবে মানল ,আমি কি আমার সৃষ্টিকর্তা প্রভর হুকুম কি এভাবে মানছি ?আমিতো অর্থ-সম্পদের লোভে মহান মহান মালিকের অবাধ্য হয়ে শত শত মানুষের সর্বনাশ করছি
বলা হয় এই ব্যক্তিটিই নাকি পরবর্তীতে আল্লাহর এক ওলীতে পরিনত হয়েছিলেন।আল্লাহুআলম।
উচ্চশিক্সার জন্য তিনি ৪৮৮ হিজরীতে যখন প্রথম তিনি বাগদাদ গমন করেন তখন তার বয়স হয়েছিল আঠার বৎসর।বাগদাত এসে তিনি শায়েখ আবু সাইদ ইবনে মোবারক মাখযুমী হাম্বলী,আবুল ওয়াফা আলী ইবনে আকীল এবং আবু মোহাম্ম ইবনে হোসাইন ইবনে মুহাম্মদ : এর নিকট ইলমে ফিখ,শায়েখ আবু গালিবমুহাম্মদ ইবনে হাসান বাকিল্লানী,শায়েখ আবু সাইদ ইবনে আব্দুল করীম শায়েখ আবুল গানায়েম মুহম্মদ ইবনে আলী ইবনে মুহম্মদ : প্রমুখের নিকট এলমে হাদীস
এবং শায়েখ আবু যাকারিয়া তাবরেয়ী : নিকট সাহিত্যের উচ্চতর পাঠ লাভ করেন।শায়খ জীলানীর বাহ্যিক আধ্যাত্নিক জ্ঞান চর্চার গূরু শায়খ আবু সাঈদ মাখযুমীর মনে তরুন শিষ্যের যোগ্যতা প্রতিভা সম্পর্কে এতই সুধারনা আস্হাশীলতার সৃষ্টি করল যে,নিজ হাতে প্রতিষ্ঠিত মাদরাসা তত্তাবধান পরিচালনার দায়িত্ব শায়খ আব্দুল কাদির জিলানী : এর নিকট অর্পন করে তিনি নিজে অবসর গ্রহন করেন।
শায়খ আব্দুল কাদির জিলানী : মাদ্রাসার উন্নতি উৎকর্ষের কাজে আত্ননিয়োগ করেন।হাদীস ,তাফসির,ফিকহ অন্যান্য জ্ঙান বিজ্ঞানের শিক্ষাদান নিজেই শুরু করেন।পাশাপাশি ওয়াজ নসিহত তাবলিগের কর্মসুচীও চালু করেন অল্পদিনের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানের সুনাম চারিদিকে ছরিয়ে পড়লো এবং দেশ বিদেশের বিদ্যার্থীরা এতএ ছুটে আসতে লাগলো।এ পর্যায়ে মাদরাসার নামকরনও শায়খের সাথেই সম্পৃক্ত হয়েমাদরাসায়ে কাদেরিয়াহয়ে গেল।
শায়খ আব্দুল কাদির জিলানী : এর শিক্ষকতার জীবন ছিল ৫২৫ থেকে ৫৬১ হিজরি পর্যন্ত মোট ৩৬ বছর।যাতে তিনি দিনের প্রথম ভাগে তাফসির হাদীস,যোহরের পর পবিত্র কোরাআন,আর অন্যান্য সময় ফিকহ,উসুল ইত্যাদি বিষয়ের পাঠ দান করতেন।আল্লাহ তাআলা তাকে বাহ্যিক জ্ঞান বিদ্যায় এতই ব্যুৎপত্তি দান করেছইলেন যে, যখন ফতোয়া দান করতেন তখণ কোন উৎস বা গ্রন্হ দেখার প্রয়োজন হতো না।কাগজ কলম নিয়ে কোনরুপ চিন্তা ভাবনা ছাড়াই উপস্হিত তিনি যা লিখতেন ,সমকালীন জ্ঞানীগুনি আলেম সমাজ ইহাকেই দলীল স্বরুপ মনে করতেন

আরও জানতে এখানে ক্লিক করুন। 
 

 




Share this :

Previous
Next Post »